ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ভারতীয় রেল। কোনও আগাম নোটিশ ছাড়া আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল মেচেদা ফুট ওভারব্রিজ। যা রেলস্টেশন যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। আর এর ফলে চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ। মেচেদা রেলওয়ের এই ওভারব্রিজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০০০ রেলযাত্রী এই ওভার ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ হঠাৎ এই ওভারব্রিজের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশা। শুধু তাই নয়, এভাবে ওভারব্রিজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ থেকে রেলযাত্রীরা। যদিও মেচেদা রেলওয়ে দফতর সূত্রের খবর ওভারব্রিজের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাত্রী চলাচল করা যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজনক। তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধকরে দেওয়া হয় যাত্রী চলাচলকারী এই ফুট ওভার ব্রিজ। এমনটাই জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।
উল্লেখ্য, মেচেদা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে ট্রেন ধরার জন্য প্রায় ৭০০ মিটার ঘুর পথে যেতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ধরতে পারছেন না যাত্রীরা। অপরদিকে ট্রেনে করে মেচেদার উদ্দেশ্যে আসা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে বাসও ধরতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে রেলের কোন আধিকারিক কিছুই বলতে চাননি। তবে প্যাসেঞ্জারদের এরুপ হয়রানির শিকার হতে দেখে রেলওয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের জোনাল সেক্রেটারি। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় দু বছর যাবত মেছেদা বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলওয়ে প্লাটফর্মে যাওয়ার এই ফুট ওভার ব্রিজের চরম খারাপ অবস্থা। একাধিকবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইন্সপেকশন করেছেন এই ফুট ওভার ব্রিজ নিয়ে। দু’বছরে কেন ব্রিজের দুর্বল অংশগুলো সাড়ানোর ব্যবস্থা নিল না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে আমরাও একাধিকবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখন হঠাৎ করে ওই ওভার ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন রেল যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা নাভেবে রেলেই এই ফুটওভার ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি, অ্যাসোসিয়েশনের জোনাল সেক্রেটারি দাবি করেছেন এমনটাই।