একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলত্যাগের হিড়িক, আদি-নব্য দ্বন্দ্ব তো ছিলই। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে শিকেয় উঠেছে তাদের সংগঠনেরও। সেই বেহাল দশার ছবিটাই বেআব্রু হয়ে পড়েছিল খাস কলকাতার বুকে ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা সুপারডুপার ফ্লপ হওয়ায়। তবে তার পরে পরেই দেশের ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখে হতাশা কাটিয়ে উঠতে চাইছিল বঙ্গ বিজেপি। কার্যত বাংলার রাজনীতির উঠোনে অক্সিজেন খুঁজতে নেমে পড়েছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। কিন্তু এমতাবস্থায় বেসরকারি ভোট-কুশলী সংস্থার রিপোর্টে শঙ্কিত বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মুম্বইকেন্দ্রীক ভোট-কুশলী সংস্থা জার্ভিস টেকনোলোজি অ্যান্ড কন্সালটিং প্রাইভেটে লিমিটেডের রিপোর্ট নাকি বলছে, বাংলায় বিজেপি পাঁচটি আসন জেতার মতো জায়গায় নেই!
প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের ওপর থেকে ভরসা হারিয়ে চব্বিশের ভোটের আগে জার্ভিসের হাতে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ব্যাটন তুলে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য জুড়ে সংস্থাটি তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও খবর। এমনকি তারা একটি সমীক্ষার রিপোর্টও তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে। আর তাতে বলা হয়েছে, চব্বিশের ভোটে বাংলায় ৫টি আসনও পাওয়ার জায়গায় নেই পদ্ম পার্টি। যেখানে শাহ বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, রিপোর্টে বাংলায় বিজেপির দুর্দশার জন্য বেশ কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলার বুকে তৃণমূল সরকার যে সমস্ত আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু রেখেছে তাতে রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা কোনও ভাবেই চান না এই সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাক। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার ঘটনা। মানুষ বিজেপির ওপর চরম ক্ষুব্ধ।