কেউ পদক ফেরাচ্ছেন, কেউ আবার খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করছেন। কুস্তিতে ‘গ্রহণ’যেন কাটছেই না। চলতি সপ্তাহেই অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক খেলা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন। বজরং পুনিয়াও তাঁর পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেন। এবার সেই তালিকায় জুড়ল আরও একটি নাম। আরেক অলিম্পিক পদকজয়ী বীনেশ ফোগটও খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করলেন। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একটি খোলা চিঠি লিখেছেন জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাচন ও মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থা সম্পর্কে।
বিতর্কের সূত্রপাত বছরের গোড়া থেকে। রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান ব্রীজভূষণ সরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন দেশের তাবড় তাবড় কুস্তিগীররা। ব্রীজভূষণের শাস্তির দাবিতে তাঁরা পথেও নেমেছিলেন। শেষে দায়ের হয় মামলা, শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু বিতর্কের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। সম্প্রতিই রেসলিং ফেডারেশনের নতুন প্রধান নির্বাচন করা হয়। তাতে জয়ী হন ব্রীজভূষণেরই ঘনিষ্ঠ সতীর্থ। ক্ষোভে-কান্নায় ভেঙে পড়েন কুস্তিগীররা। এদিকে, নতুন প্রধান সঞ্জয় সিংকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে নতুন কমিটিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
কুস্তি ঘিরে যখন চরম নাটকীয়তা চলছে, সেই সময়ই বড় ঘোষণা। বজরং পুনিয়ার পর এবার কুস্তিগীর বীনেশ ফোগটও কেন্দ্রের দেওয়া পুরস্কার-সম্মান ফেরানোর ঘোষণা করলেন। দেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য তাঁর প্রাপ্ত খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন ফোগট।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও তিনি একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপি সাংসদ ব্রীজভূষণ কীভাবে প্রতিনিয়ত মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থা করেছেন। তাঁদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও কিছু বদলায়নি। প্রতিবাদ স্বরূপ সাক্ষী মালিকের খেলা ছেড়ে দেওয়া এবং বজরং পুনিয়ার কর্তব্য পথের ফুটপাথে পদ্মশ্রী পুরস্কার রেখে আসার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বীনেশ ফোগট জানিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে ঠিকমতো সহযোগিতা পাচ্ছেন না কুস্তিগীররা। ধীরে ধীরে তাঁর অলিম্পিকের স্বপ্ন আবছা হয়ে যাচ্ছে।