এবার শহরের উড়ালপুলের তালিকায় যোগ হতে চলেছে নয়া সংযোজন। শহরের পূর্ব প্রান্তে ই এম বাইপাসের মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে নিউটাউনের কাছে মহিষবাথান পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই এই উড়ালপুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভোট মিটলেই শুরু হয়ে যাবে এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই উড়ালপুল নির্মীত হয়ে উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
৭ বছর আগে প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৭২৭ কোটি টাকা। তবে এখন খরচ বেড়ে পৌঁছেছে হাজার কোটিতে। আগে ঠিক হয়েছিল এই উড়ালপুল নির্মাণ করবে কেএমডিএ। পরে পাকাপাকিভাবে এই সেতু তৈরির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় রাজ্য পূর্ত দফতরের হাতে। ইতিমধ্যেই প্রোজেক্ট রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরের হাতে। সেতুর নকশায় কোনও পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না, তা দেখে নেওয়া হবে। নকশা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন দেবে রাজ্যের অর্থ দফতর। সেই ছাড়পত্র পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু হবে, যা সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে দু’মাস। ফলে কাজ শুরু করতে করতে লোকসভা নির্বাচন মিটে যাবে বলেই জানাচ্ছেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা।
এই উড়ালপুল নির্মীত হয়ে গেলে নবান্নের দিক থেকে আরও দ্রুত পৌঁছনো যাবে কলকাতা বিমানবন্দরে। লাভবান হবেন দক্ষিণ কলকাতার মানুষেরাও। চিংড়িঘাটা ক্রসিং, সল্টলেক বাইপাস, সেক্টর ফাইভের জ্যাম এড়িয়ে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে নিউটাউনের মুখে। ফলে যাত্রার সময় কমবে অনেকটাই। নবান্ন থেকে বিমানবন্দর যেতে হলে তখন বিদ্যাসাগর সেতু পার করে মা ফ্লাইওভার ধরে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে ইএম বাইপাস। তারপরই নতুন সেতু ধরে সোজা চলে যাওয়া যাবে নিউটাউনের মুখে মহিষবাথানে। সেখান থেকে বিশ্ববাংলা সরণি এবং ভিআইপি রোড ধরে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর।