সংবাদমাধ্যমতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, ‘২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ছিল। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে জয় এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের ১ লাখ সেনাকে বন্দি করার ঘটনার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ রামমন্দির উদ্বোধন।’ তাঁর কথায়, ‘রামমন্দির গোটা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
চম্পত রাই বলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হওয়ায় এখানকার মানুষ সন্তুষ্ট। এখানকার আশেপাশের মানুষজন, সাধু, শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই এই রামমন্দির আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৯৮৩ সালের পর থেকে অবশ্য গোটা দেশের মানুষই জড়িয়ে পড়েছিলেন এর সাথে। তার আগে বিষয়টি শুধুমাত্র অযোধ্যাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। আর এখন গোটা দেশের শ্রদ্ধার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি রামন্দিরে রামলালাকে প্রতিষ্ঠিত করতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাধুদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও ২২ জানুয়ারি আমন্ত্রিত। তবে বিজেপির সহপ্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশীকে সেদিন ‘না আসার জন্য অনুরোধ’ জানিয়েছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। উল্লেখ্য, আডবীণা ও যোশীর হাত ধরেই রামমন্দির আন্দোলন ছড়িয়েছিল দেশে।