পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ জিতল টিম ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে পকেটে পুরে নিলেন কে এল রাহুলরা। ২০১৮ সালের পর আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এক দিনের সিরিজ জিতল ভারত। সে বার বিরাট কোহলির নেতৃত্বে এসেছিল জয় (৫-১)। এবার অধিনায়ক রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটি ভারতের দ্বিতীয় এক দিনের সিরিজ জয়। বৃহস্পতিবার টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর জায়গায় খেলেন রজত পটিদার। অভিষেক ম্যাচে ১৬ বলে ২২ রান করেন তিনি। অন্য ওপেনার সাই সুদর্শন করেন ১০ রান। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ২১ রান করেন। ১০১ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। সেখান থেকে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে জুটি গড়েন তিলক বর্মা। তাঁরা দু’জনে ১১৬ রানের জুটি গড়েন। ভারতকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন তাঁরাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সঞ্জুর অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবোয়েতে। আফ্রিকা মহাদেশের সেই দেশে জীবনের প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এ বার সেই আফ্রিকার অন্য এক দেশে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান করলেন সঞ্জু। মাঝে কেটে গিয়েছে ৮ বছর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১৪ বলে ১০৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন তিনি।
শেষ লগ্নে রিঙ্কু সিংহ ২৭ বলে ৩৮ রান করে ভারতকে ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। কিন্তু রিঙ্কু আউট হতে আর ৩০০ রান পার করতে পারল না ভারত। অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দররা খুব বেশি রান না পাওয়ায় ২৯৬ রানেই থেমে গেল ভারতের ইনিংস। টসের সময় অধিনায়ক রাহুল বলেছিলেন, “প্রথমে ব্যাট করতে এই পিচে অসুবিধা হবে না বলেই মনে হচ্ছে। পাটা উইকেট। আগের দু’টি ম্যাচের থেকে বেশি রান উঠবে বলে মনে হচ্ছে।” সেই কথাও মিলে গেল শেষমেশ। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৯৬ রান তোলে। যা আগের দু’টি ম্যাচের থেকে বেশি। সেই রান তাড়া করতে নেমে সমস্যায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন রেজা হেন্ড্রিক্স এবং গত ম্যাচে শতরান করা টনি ডে জর্জি। কিন্তু ১৯ রানের বেশি হেন্ড্রিক্সকে করতে দেননি আরশদীপ সিংহ। মাত্র ২ রান করে অক্ষরের বলে আউট হয়ে যান রসি ভ্যান ডার ডুসেন। জর্জি এ দিনও রান পেলেন। ৮১ রান করেন তিনি। অধিনায়ক মার্করামও ৩৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এই চার ক্রিকেটার আউট হতেই ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফল আরশদীপ। ৯ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২ করে উইকেট নেন আবেশ খান এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। একটি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার এবং অক্ষর প্যাটেল। আগের ম্যাচে বোলিং বিভাগ ব্যর্থ হলেও বৃহস্পতিবার তেমনটা হয়নি। বোলাররাই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে জয় এনে দিলেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের শিরোপা উঠেছে সঞ্জু স্যামসনের মাথায়। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন আরশদীপ সিংহ। তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার।