লোকসভায় ফের সাসপেন্ডেড হয়েছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক সাংসদ। এবার সেই সাসপেনশনের প্রতিবাদে দিল্লীর যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখালেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা। সেইসঙ্গে সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের নেতারা। এদিন যন্তরমন্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা দেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। বিক্ষোভ সমাবেশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা জানান, “আমরা দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য লড়াই করছি। লড়াই করছি সংবিধান ও সংসদের গরিমা ফিরিয়ে আনার জন্য।” এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি সহ বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ।
এদিন বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, “দেশে সংসদ হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেই সংসদে যদি বিরোধীরা কথা বলতে না পারে, তাহলে কোথায় বলবে?” পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আদানি ইস্যুতে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন। সেইসঙ্গে রাহুল গান্ধী জানান, “যত ইন্ডিয়া জোটকে ধমকাবেন, ততই এই ভালোবাসা বিকোবে।” বৃহস্পতিবার পুরনো সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। “বিরোধীদের সংসদের ভিতর বলতে দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের মন্দির সংসদ ভবনে যদি বিরোধীদের বলতে দেওয়া না হয়, তাহলে কোথায় বিরোধীরা কথা বলবেন। আসলে মোদী সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে”, জানিয়েছিলেন তিনি।