সংসদে অনুপ্রবেশকারীরা ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে’ চেয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি যোগসাজশ খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। এবার সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণ দেশের বেকারত্ব বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘ দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির কারণেই দেশে বেকারত্ব আকাশছোঁয়া বলেও উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতা।
লোকসভা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝা দেশে নৈরাজ্যকে উসকে দেওয়ার লক্ষ্যেই সুপরিকল্পিতভাবেই সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছে। পুলিশ বলেছে বিদেশী অর্থায়নের সম্ভাবনাগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তে আরও নানান বিষয় খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
কংগ্রেস সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বিবৃতির জন্য চাপ দিচ্ছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন যে বিরোধী দলগুলি সোমবার আবার বৈঠক করবে এই ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে।
রাহুল গান্ধী সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে আরও বলেছেন যে ভারতীয়রা বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির মুখোমুখি হচ্ছে তা হল বেকারত্ব। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা লঙ্ঘন সত্যিই ঘটেছে। কিন্তু মূল বিষয় হল, কেন এই ঘটনা ঘটল? মূল সমস্যা হল বেকারত্ব। মো্দীজির নীতির কারণে, ভারতের মানুষ কর্মসংস্থান পাচ্ছে না,” বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে মোদী সরকারের নীতিকে তুলোধোনা করেছেন তিনি।
শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, সংসদে যখন ‘নৈরাজ্য’র পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন বিজেপি সাংসদরা দ্রুত সংসদ চত্ত্বর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। দিল্লির যন্তর মন্তরে ভারতের বিরোধী ব্লকের প্রতিবাদে বক্তৃতা করতে গিয়ে, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে কয়েকজন যুবক সংসদে প্রবেশ করেছিল এবং ক্যানিস্টার থেকে ধোঁয়া ছুঁড়েছিল। এরপরই বিজেপি সাংসদরা সংসদ ভবন ছেড়ে চলে যান’।