শহর পেতে চলেছে আরও একটি নতুন উড়ালপুল। দীর্ঘদিন ধরেই বাইপাসের ধারে নতুন একটি ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। এই নিয়ে ডিপিআর বা ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। এবার নতুন বছরের আগেই এল সুখবর। সূত্রের খবর, আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে এই ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে নিউ টাউন সংলগ্ন মহিষবাথান পর্যন্ত বিস্তৃত হতে চলেছে এই ফ্লাইওভারটি। তা ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে চলেছে। যত দ্রুত সম্ভব, এই ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করার জন্য শুরু হয়েছে তৎপরতা। ফ্লাইওভার তৈরির কাজ যাতে দ্রুত হয় এবং সমস্ত দিক বিবেচনা করে দেখার জন্য সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজিত হয়। ইতিমধ্যেই উড়ালপুলটি তৈরির জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিষয়টির দায়িত্বে ছিল কেএমডিএ। সূত্রের খবর, গোটা প্রকল্পটির জন্য একটি ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআরও তৈরি করেছিল কেএমডিএ। কিন্তু, নয়া নির্দেশ পাওয়ার পর তা রাজ্য পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, সেই রিপোর্টে কোনও বদল আনার দরকার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। উড়ালপুলটির নকশাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পর মিলবে অর্থ দফতরের অনুমোদন। সেক্ষেত্রে কাজ শুরু হতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই উড়ালপুলটি তৈরি করতে ৭২৭ কোটি টাকা একেবারে শুরুর দিকে খরচ ধরা হয়েছিল। কিন্তু, এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। এই প্রকল্প শুরু ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সামনে এসেছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের খরচ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কলকাতা বিমানবন্দর যাওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তর সুবিধা হবে। এছাড়াও চিংড়িহাটা ক্রসিং, সেক্টর ফাইভের যানজট এড়িয়ে নিউটাউনের মুখে পৌঁছনো সম্ভব হবে। সেখান থেকে ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছনো অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি এই ফ্লাইওভার তৈরি হলে চিংড়িহাটা সেতুর প্রয়োজন অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।