সংসদীয় ইতিহাসে এই প্রথম। তিন দিনে লোকসভা-রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ১৪১ জন সাংসদকে। এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশের রাজনীতি। সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দোপাধ্যায় সকলেই এই প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন।
দাবি একটাই সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিবৃতি। তারই জেরে ধুন্ধুমার কাণ্ড সংসদে। ১৪১ সাংসদ বহিষ্কারের প্রশ্নে দেশ জুড়ে যখন তোলপাড় পড়ে গিয়েছে তার মাঝে ফের বিতর্কিত মন্তব্য হেমা মালিনীর। তিনি সাংসদ বহিষ্কারের প্রশ্নে বলেন, ‘সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেন তারা এবং অদ্ভুত আচরণ করেন’। তিনি আরও বলেন, যদি কোন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়, তার মানে তিনি কিছু ভুল আচরণ করেছেন। তার সংসদের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন’।
মঙ্গলবার বিরোধী শিবিরের ১৪১ সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে, বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘তারা অনেক প্রশ্ন করে এবং সংসদে অদ্ভুত আচরণ করে’। মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী বলেছেন যে বিরোধীদের একমাত্র লক্ষ্য সংসদের সুষ্ঠ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো এবং মোদী সরকারের বিরোধিতা করা। দুই-তৃতীয়াংশ বিরোধী সাংসদের সাসপেনশনকে ন্যায্যতা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন যে সাসপেনশনের অর্থ স্পষ্টতই তারা কিছু ভুল করেছে।
হেমা মালিনী বলেন, ‘যদি কোন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়, তার মানে তিনি কিছু ভুল আচরণ করেছেন। সংসদীয় প্রটোকলকে লঙ্ঘন করেছেন’। পাশাপাশি ১৪১ সাংসদের বহিষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে দোষের কিছু নেই। এর সঙ্গেই তিনি গতকালের বিরোধী জোটের বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন। হেমা মালিনী বলেন, বিরোধীদের উদ্দেশ্যও সংসদের কার্যক্রমকে কোনোভাবেই সুষ্টভাবে চলতে না দেওয়া এবং যে কোন উপায়ে মোদী সরকারকে বাধা দেওয়া’।