রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের দাপুটে ইনিংস। সামনেই বড়দিন। প্রতিবছরই সেইসময় জাঁকিয়ে শীত পড়ে বাংলায়। তবে এবার সেই সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বড়দিনের আগেই উইকএন্ডে বাড়বে তাপমাত্র। তবে আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। পাঞ্জাব থেকে পূর্ব ভারতে শুরু হয়েছে কোল্ড প্যাসেজ। এই কোল্ড প্যাসেজে তাপমাত্রা ৪-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছে। পাঞ্জাবে শৈত্য প্রবাহের সতর্কবার্তা সঙ্গে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, উত্তর রাজস্থান, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, উত্তর ছত্তীসগঢ়, উত্তর ঝাড়খন্ড ও পশ্চিম বিহারে চলছে এই কোল্ড প্যাসেজে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ এলাকায়। এর প্রভাবে তামিলনাড়ু কেরালা সহ দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে শুক্রবার। এর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে সপ্তাহান্তে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে ১২ই ডিসেম্বর থেকে চলছে শীতের পর্ব। খুব সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। অবাধ উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। শনি ও রবি ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। আপাতত শীতের এই স্পেল জারি থাকবে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির তাপমাত্রা ১৪- ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। কোথাও ১০ এর নিচে তাপমাত্রা।। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের কাঁপুনি থাকবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলার তাপমাত্রা অনেকটাই কম হবে। উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। কুয়াশার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। আপাতত দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকাতেও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। এদিকে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরালা, লক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরি মাহে করাইকালে। শৈত্য প্রবাহের সতর্কবার্তা পাঞ্জাবে। পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় দিল্লিতে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গেছে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা। কুয়াশা থাকবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও কুয়াশা। আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতে ভোর বেলায় কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা।