শেষমেশ কার্যত বৃথা হল সকল আয়োজন! লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ, ৫০ হাজার শঙ্খের ধ্বনি, হাজার হাজার সাধুসন্তের সমাবেশ, এত সমারোহ যাকে ঘিরে, থাকছেন না তিনিই। আগামী ২৪শে ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসরে সম্ভবত আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আয়োজকদের একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে সূত্র। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠবে দেশজুড়ে। তার আগে আগামী ২৪শে ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর বসিয়ে বাংলায় হিন্দুত্বের আবেগকে তুঙ্গে তুলতে কোমর বেঁধেছে গেরুয়া শিবির। আয়োজন সফল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোদী ব্রিগেডে আসবেন, সেই প্রচার করে লোক টানারও চেষ্টা করছেন আয়োজকরা। অথচ শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর আসাটাই ঘোরতর অনিশ্চয়তার মুখে।
প্রসঙ্গত, আয়োজকদের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এমনকী নিজের কন্ঠে গীতার একটি শ্লোকও পাঠ করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সরকারিভাবে ‘রাজনীতি-রহিত অনুষ্ঠান’ হলেও মূল মঞ্চেই দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর ও দেশের শীর্ষস্থানীয় অন্য সাধু-সন্তদের পাশেই প্রধানমন্ত্রীর বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। অর্থাৎ গোটা অনুষ্ঠানটাই ছিল মোদিময়। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি এই মোদিময় অনুষ্ঠানে মোদীই থাকছেন না। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনও সরকারিভাবে এ খবর জানায়নি। শেষপর্যন্ত যদি প্রধানমন্ত্রী রবিবারের ব্রিগেডে না আসেন, তাহলে সেটা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জন্য বটেই, বঙ্গ বিজেপির জন্যও বড় ধাক্কা হবে। কারণ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মতো বঙ্গ বিজেপির নেতারাও নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে মোদির মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী না এলে হিন্দুত্বের যে প্রচার এবং প্রভাব তাঁরা আশা করেছিলেন, ব্রিগেডের অনুষ্ঠান থেকে তার কণামাত্রও হবে না বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।