প্রাক্তন সেনা প্রধান এমএম নারাভানে দাবি করেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সেনায় যোগ দেওয়া জওয়ানদের আরও বেশি সংখ্যায় যাতে বাহিনীতে রাখা হয়, তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে বাহিনীতে যোগ দেওয়া মাত্র ২৫ শতাংশ জওয়ানকেই ৪ বছরের পরও নিয়োগ করে রাখা হবে। তবে জেনারেল নারাভানের দাবি ছিল, ৪ বছর পরও বাহিনীতে যাতে ২৫ শতাংশেরও বেশি জওয়ান থাকতে পারে, তারই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে বাহিনীতে যোগ দেওয়া জওয়ানদের বেতন যাতে আরও বেশি হয়, তার জন্যেও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল বলে জানালেন প্রাক্তন সেনা প্রধান। উল্লেখ্য, ‘ফোর স্টারস ডেস্টিনি’ নামে একটি বই লিখেছেন জেনারেল নারাভানে। সেই বইটি শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। সেখানেই এই দাবি করেছেন তিনি।
বইতে নাকি জেনারেল নারভানে লেখেন, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নাকি তিনি ‘ট্যুর অফ ডিউটি’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বল্প সময়ের জন্য সীমিত সংখ্যক জওয়ানকে নিয়োগ করা যেতে পারে সেনায়। তবে তাঁর সেই প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে অগ্নিপথ নিয়ে আসে সরকার। যাতে তিন বাহিনীরই সব জওয়ানকে নিয়োগ করার কথা বলা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তী সময়ের জন্যে জওয়ানদের চাকরিতে রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বইতে নাকি জেনারেল নারাভানে লিখেছেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা অবাক হয়েছিলাম। তবে বায়ুসেনা এবং নৌসেনার জন্যে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ছিল এই সিদ্ধান্ত।’ এমনকী বায়ুসেনা এবং নৌসেনার প্রধানদের নাকি এই নিয়ে জেনারেল নারাভানেকে বোঝাতে হয়েছিল। তিনি নাকি তাঁদের জানিয়েছিলেন, তিনি শুধুমাত্র সেনার জন্যে এই ধরনের প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। বায়ুসেনা বা নৌবাহিনীর জন্যে এই প্রকল্পের প্রস্তাব তিনি করেননি।
এদিকে জেনারেল নারাভানে দাবি করেন, তাঁর প্রস্তাব ছিল, এই প্রকল্পে নিযুক্ত জওয়ানদের ৭৫ শতাংশকেই বাহিনীতে রেখে দেওয়া হোক। এবং ২৫ শতাংশকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে সরকার ঠিক উলটোটাই করে। এদিকে সেনা জওয়ানদের বেতন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানোর কথাও বইতে উল্লেখ করেন জেনারেল নারাভানে। তিনি নাকি লিখেছেন, দিনমজুরের মতো তো জওয়ানদের তুলনা করে বেতন দেওয়া যায় না।