সাম্প্রতিককালে একাধিকবার তাঁর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে একপ্রকার বিপাকেই পড়লেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে চিঠি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসেসিয়েশন। ভরা এজলাসে এক আইনজীবীকে হেনস্থা এবং অপমান করার অভিযোগ উঠেছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গিয়েছে, সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একটি মামলার শুনানি চলার সময় এক আইনজীবীকে ভরা এজলাস থেকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, শেরিফকে ডেকে এজলাস থেকে আইনজীবীকে সিভিল প্রিজনে রাখার নির্দেশ দেন। এমনকী ওই আইনজীবীর গাউন খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় চরম অপমানের শিকার হয়েছেন আইনজীবী। এমন অভিযোগ তুলেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখে বার অ্যাসোসিয়েশন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়কে বিচারপতি হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের। অভিযোগ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই আইনজীবীকে নিজের গাউন, বো খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। এমনকী শেরিফকে ডেকে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে ‘সিভিল প্রিজনে’ রাখার নির্দেশও দেন।
এরপরই বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দ্রুত সাধারণ সভা ডাকা হয়। এবং সেখানে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তারপরই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সমস্ত বিচারের কাজ প্রত্যাহার করা হোক। কারণ চরম অপমান করা হয়েছে আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। আর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।’ সর্বসম্মতভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।