লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না গেরুয়াশিবিরের। আজ, সোমবার বীরভূমে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল জেলা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে মিথ্যাচারী বিজেপি। রবিবার সকালেই সাঁইথিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বীরভূম সাংগঠনিক জেলার নেতা ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে একাধিক পোস্টার পড়ে। দলের স্থানীয় নেতা দীপক দাস জানান, “দলের কিছু পচে যাওয়া নেতা এই কাজ করেছে। পোস্টার লাগিয়ে ওরা তৃণমূলের সুবিধা করে দিতে চাইছে।” যদিও বিজেপির এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “বীরভূম জেলায় বিজেপি নেতারা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় অসৎ উপায়ে টাকা রোজগার করছেন। নেতাদের উপঢৌকন দিতে না পারায় পুরনো কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দলের ভেতরেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডির তদন্ত চাইছেন আদি কর্মীরা।”
পাশাপাশি, এমনও শোনা যাচ্ছে যাঁরা প্রচুর টাকা বিজেপি রাজ্য নেতাদের দিতে পারছেন তাঁরাই দলে বড় পদ পাচ্ছেন। লোকসভা ভোটে, আগে বীরভূমে বিজেপির আদি-নব্য লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আদি বিজেপিরা কলকাতায় দলের রাজ্য দফতর ঘেরাও করতেও পিছপা হচ্ছেন না। নলহাটি বিজেপির আদি নেতা অনিল সিং তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ধ্রুব সাহার দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। রাজ্য সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হচ্ছেন, অথচ নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করাচ্ছেন না কেন? উঠছে প্রশ্ন।