দেশের অর্থনীতি নিয়ে মোদী সরকার যতই গালভরা ভাষণ দিক, অর্থনীতির বাস্তব পরিস্থিতি অত্যন্ত বেহাল। ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতি বহুদূর বরং ২০২৭ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি না করে সম্ভাব্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ বজায় থাকলে ভারত একটি নিম্ন মধ্যম অর্থনীতির দেশই থেকে যাবে।
গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন মন্তব্য করেছিলেন, ২০২৩ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫% হলেই ভারত নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে পারে। যা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। রবিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের সেই বক্তব্যের রেশ ধরে রাজন বলেন, “আমি ঠিকই বলেছিলাম। আমরা ভাগ্যবান।… বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগতি আরও পোক্ত ভাবে হয়েছে।” নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তাঁর ব্যাখ্যা, আমেরিকার বৃদ্ধির হার ছিল প্রত্যাশার তুলনায় ৩% বেশি। ভারতের বৃদ্ধিও পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি হচ্ছে দেখে তিনি খুশি। তবে তিনি চান এই অগ্রগতির হার হোক ৮%।
একই সঙ্গে রাজনের স্পষ্ট হিসাব, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতির ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। অতিমারির আগে থেকে গত চার বছরে বৃদ্ধির হার ছিল ৪%। তা বেড়ে ৬.৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অর্থনীতির আনুমানিক বহর এখন ৩.৫ লক্ষ কোটি ডলার। অর্থাৎ, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে গেলে বৃদ্ধির হার ১২%-১৫% হতে হবে। রাজন আরও জানান, দেশ যদি দ্রুত বৃদ্ধি না পায় তবে ধনী হওয়ার আগে দেশে জনসংখ্যাগত ভাবে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়বে। যা দেশের অগ্রগতির পথে বাধা দান করবে।