সম্প্রতিই উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সবাই। ব্যবসা করার ইচ্ছে ছিল ব্যবসায়ীর স্ত্রীরও। তাই পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সোনার গয়না বন্দক দেন তিনি। কিন্তু ব্যবসা দাঁড় করাতে না পেরে নির্দিষ্ট সময়ের গয়না ছাড়াতে পারছিলেন না। তাই শেষমেষ বাড়িতে ডাকাতির গল্প ফাঁদেন উক্ত মহিলা। আগরপাড়া সাউথ স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী বাড়িতে ডাকাতির তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেল পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ছড়িয়েছে সারা এলাকায়। বৃহস্পতিবার বারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে বাড়ির বধূ নিজেই ডাকাতির মিথ্যে অভিযোগ সাজিয়েছিলেন। সোনার গয়না তিনি বন্ধক রেখেছিলেন। সেইসব সোনার গয়নার কিছুটা উদ্ধার করা গিয়েছে। মহিলা ডাকাতির মিথ্যে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি জানান, সমস্ত বিষয় আদালতে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ই নভেম্বর আগরপাড়া সাউথ স্টেশন রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী দিগম্বর সিংয়ের স্ত্রী মঞ্জুদেবী অভিযোগ করেন, ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। তখন একদল ডাকাত বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আলমারি ভেঙে নগদ লক্ষাধিক টাকা সহ সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে কিছু না পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। গৃহবধূর সঙ্গে প্রাথমিক কথোপকথনেও একাধিক অসঙ্গতি মেলে। এরপরই পুলিশ জানতে পারে, গৃহবধূ তার বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েকে কয়েক দিন ধরে ডাকাতির মিথ্যে কাহিনি আত্মস্থ করিয়েছিলেন। তার পর ঘটনার দিন ছাদের দরজা খোলা রেখে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে বাড়ি ফিরে তিনিই ডাকাতির নাটক শুরু করেন। এই ঘটনার সম্পর্কে মঞ্জুদেবীর স্বামী দিগম্বর সিং কিছুই জানতেন না বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ দুই জায়গায় সোনা বন্দক রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে একটি জায়গা থেকে বন্দকি মঙ্গলসূত্র, সোনার চেন, আংটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।