পর্যটকদের কাছে দীঘাকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পথে হাঁটল দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ তথা জেলা প্রশাসন। সৈকতসুন্দরী দীঘার সমুদ্রপারে হকারদের রমরমা নিয়ে পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ ছিল। এবার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, আগামী বছরের আগে দীঘার সমুদ্রপার হকারমুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ তথা জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে সমুদ্র পার হকার মুক্ত করার জন্য মাইকে ঘোষণা করা হবে। বড় দিনের আগে দীঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনের দাবি। সূত্রের খবর যেসব হকাররা স্টলের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের বাদ দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে বাকি হকারদের।
এবিষয়ে প্রশাসনের জনৈক কর্তার কথায়, বড়দিন, নিউ ইয়ার সহ বিশেষ বিশেষ দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে হকারদের রমরমা। পর্যটকদের অনেকেই এ ব্যাপারে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, হকারদের উপদ্রবে ঠিকমতো হাঁটাচলাও যায় না সমুদ্রপারে। তাছাড়া সৈকত নগরীকে আরো সাজিয়ে তুলতে এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনের দাবি। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মাইকিং। বড়দিনের আগেই সমুদ্রপার পুরোপুরি হকার মুক্ত করতে চাইছে প্রশাসন। তবে কোনও ধরনের বলপ্রয়োগের পথে যেতে চাইছে না দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সেকারণেই এই মাইকিং বলে জানানো হয়েছে। “যাঁরা স্টলের জন্য আবেদন করলেও এখনও স্টল পাননি, তাঁদের পরিচয় কার্ড দেওয়া হবে। যাঁদের এই কার্ড থাকবে, তাঁরা ব্যবসাও করতে পারবেন। বাকিদের বড়দিনের আগেই সরে যেতে হবে”, জানিয়েছেন জনৈক প্রশাসনিক কর্তা।