মণিপুরের তিনটি মর্গে পড়ে থাকা ৯৪টি মরদেহের মধ্যে ৮৮টি দু সপ্তাহের মধ্যে সৎকার করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। অবশেষে সৎকারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকার হেলিকপ্টার বরাদ্দ করে। কপ্টারে চাপিয়ে দেহগুলি সংশ্লিষ্ট জেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সড়ক পথে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে রাজ্য সরকার মনে করছিল। মণিপুরে জাতি দাঙ্গায় শুরু এ বছর ৩ মে। মর্গে পড়ে থাকা দেহগুলি সেই সময়ে নিহতদের।
সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, চলতি পরিস্থিতিতে নাগরিক সংগঠনগুলির গণ সৎকারের দাবি মানা সম্ভব নয়। তাতে রাজ্যে জাতিগত সংঘাত আরও বেড়ে যেতে পারে। সরকারই দেহগুলির সৎকার করবে।
কিন্তু সংঘর্ষে লিপ্ত কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায় দাবিতে অনড় ছিল, দেহ তাদের সংগঠনের হাতে দিতে হবে। সেই দাবি রাজ্য সরকার অবশেষে মেনে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলায় সংগঠনের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হছে গণ সৎকারের জন্য। মণিপুরে গত ৩ মে জাতিদাঙ্গা শুরুর পর এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। বেসরকারি মতে সংখ্যাটি অনেক বেশি। সংঘর্ষ চলাকালে বহু দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে বলে দু পক্ষই দাবি করেছে। নিহত ১৭৫ জনের মধ্যে ৯৪ জনের দেহ রাজ্যের তিনটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। সেগুলির সৎকার করা যাচ্ছিল না।