বুধবার দেশজুড়ে হইচই ফেলে দেয় লোকসভায় দুই ব্যক্তির তাণ্ডব। সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনে আচমকাই দর্শকাসন থেকে লাফ মারে দুই হামলাকারী। ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল স্মোক গ্রেনেড। অধিবেশন কক্ষে হলুদ রঙের ধোঁয়া ছড়াতে থাকে তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল থেকে দফায় দফায় ধৃতদের জেরা করে উঠে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে এই ‘হামলা’র ছক কষা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন সংসদে হামলা চালাল তারা?
সংসদে স্মোক বম্ব হামলার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করে জানতে পারে, বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ ছিল তারা। যেমন বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা, মণিপুরে চলতে থাকা অশান্তির মতো ঘটনাগুলো। পুলিশের কাছে তারা বারবার একই দাবি করছে। ধরা পড়ার পর থেকেই অভিযুক্তরা দাবি করছে, তারা হামলাকারী নয়। সন্ত্রাসমূলক হামলার কোনও পরিকল্পনা তাদের ছিল না। তারা শিক্ষিত কিন্তু বেকার।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল সাংসদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তাই তারা রঙিন স্মোক বম্ব ব্যবহার করেছে। পুলিশের এক উচ্চ আধিকারিকের কথায়, ‘সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্য এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধৃতরা দাবি করেছে।’ সূত্রের খবর, ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে তারা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। তারা পড়ুয়া ও বেকার। তাদের বাবা-মায়েরা হয় শ্রমিক নয়তো কেউ কৃষক। পুলিশ জানতে পারে, বহুদিন ধরে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে এই হামলার ছক কষেছিল। এমনকী কীভাবে এমন হামলা করা হবে তার জন্য রেইকিও করা হয়েছিল। গত বাদল অধিবেশনের সময় তারা সংসদ চত্বরে এসেছিল।