নতুন পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। এবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পাঠক্রমে আসতে পারে বড়সড় বদল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অন্দরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত সিবিএসইর আদলে এই সিলেবাস বদলের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে যেটা বলা হচ্ছে যে সিবিএসইর পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাশ করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পান। এক্ষেত্রে এবার উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসকেও যদি সিবিএসইর আদলে করা হয় তবে উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়ারাও চাকরির পরীক্ষায় টপাটপ সাফল্য পেতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই এই সিলেবাসে বদল হতে পারে। শনিবার এ নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নয়া সিলেবাস কার্যকরী হতে পারে উচ্চমাধ্যমিকে। প্রায় ১০ বছর পরে উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস বদল হতে পারে। এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, অন্তত ৪৭টি বিষয়ে এই সিলেবাস বদল হতে পারে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মূলত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিবিএসই গাইডলাইন মানা হয়। সেক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসটাও তেমন করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিকও ওই বেসরকারি টিভি চ্যানলে এই সিলেবাস বদল নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সব মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিরাট বদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এখনও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবারের মিটিংয়ে এনিয়ে আলোচনা হতে পারে। তারপর ধাপে ধাপে কাজ শুরু হতে পারে। তবে এই বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্য সরকার পোষিত স্কুল থেকে দিল্লী বোর্ডের স্কুলে পড়ুয়াদের চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোটবেলা থেকেই সিবিএসই বোর্ড পরিচালিত স্কুলে ভর্তি করার জন্য অভিভাবকদের মধ্যে তৎপরতা থাকে। তবে রাজ্য সরকার পোষিত স্কুলেই যদি সিবিএসইর মতো সিলেবাস থাকে তবে আলাদা করে দিল্লী বোর্ডের স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টার প্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।