গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের ওপর একের পর এক তোপ দেগে খবরে রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। যার ফলে বাইরে চলে এসেছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ। এমনকী বিজেপির মধ্যে অনুপমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে। এরই মধ্যে ‘চুপচাপ’ একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক ঠিক করে থাকে কোন নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন এবং কোন পর্যায়ের পাবেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন কেন্দ্রের ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’-র নিরাপত্তা পেতেন তিনি। গত ৫ ডিসেম্বর অনুপমকে জানিয়ে সেই নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, এর পরেই বোলপুর ছেড়ে দিল্লি চলে গিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ।
ইদানীং একের পর এক মন্তব্যে রাজ্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে যাচ্ছিলেন অনুপম। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কের সময়ে তিনি শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে চলে যান। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তার আগে রামপুরহাট এবং পরে খয়রাশোলে দু’টি বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি ছিল অনুপমের। তার মাঝে তিনি ফেসবুক লাইভে রাজ্য নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করেন। অভিযোগ করেন, রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর মদতেই জেলা বিজেপিতে অরাজকতা চলছে। জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা লোক দিয়ে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনুপম। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি আগে বালুরঘাট সামলান। ক’দিন আগেই দেখলাম ২০ জন লোক নিয়ে ঘুরছেন। তার মধ্যে ১৮ জনই নিরাপত্তাকর্মী।’ এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন, ‘সবটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানেন। কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা এর ফল দেখতে পাবেন।’ সুকান্তের নিরাপত্তা নিয়ে কটাক্ষ করা অনুপমেরই আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেই। তবে কি সুকান্তের বলা ‘ফল’ পেলেন অনুপম?