বুধবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে বর্ধমান রেলস্টেশনে। আচমকাই জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। আহত হয়েছেন বহু। এবার এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল জনৈক মৃতের পরিবার। এই মর্মে রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন মৃত মাফিজা খাতুনের স্বামী তথা মেমারির বাসিন্দা আবদুল মাফিদ শেখ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেন তিনি। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জিআরপি। গতকাল মাফিজা খাতুনের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সরব হয় পরিবার। তবে রেলে তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি,রেলের তরফে বলা হয় ক্ষতিপূরণের জন্য নথিপত্র লাগবে, তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মাফিজার দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেই মতো তাঁর পরিবার আবার হাসপাতালে ফেরে।
কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। যদিও, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, মৃতের স্বামীর কাছে কোনও প্রামাণ্য নথি ছিল না। উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর নাগাদ আচমকাই দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভেঙে জলের ট্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে, ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল সেটি। এবার প্ল্যাটফর্মের নিচে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের মাথায় ভেঙে পড়ে ওই ট্যাঙ্কটি। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত একাধিক। মৃত ও আহতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছে রেল। এদিকে, বুধবারের দুর্ঘটনার পর জলট্যাঙ্ক ও সেডের ভাঙা অংশ সরিয়ে ফেলেছে রেল। অবশিষ্ট ভাঙা ট্যাঙ্কের নিচ দিয়েই যাতায়াত চলছে অবাধে। তবে বাকি অংশ ভেঙে পড়ে আবার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন নিত্যযাত্রীরা।