অধিবেশন চলাকালীন ‘গ্যাস অ্যাটাক’ নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদে আজ দিনের শুরুতেই উত্তপ্ত অধিবেশন। স্লোগান তুলে অধিবেশন সরগরম করে তুললেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তাঁদের প্রতিবাদের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদরা এ নিয়ে সরব হলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বক্তব্য রাখতে ওঠার পরই বিরোধীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি তুলেছেন। শাহকে সংসদে গিয়ে এনিয়ে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিও তোলেন।
তাঁদের মূল দাবি, সংসদে প্রশ্ন করার জন্য পোর্টালের পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দেওয়া যদি নিরাপত্তা ইস্যু হয় এবং তার জেরে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কৃত হতে হয়, তাহলে বুধবার গ্যাস হামলার ঘটনাও একই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক এবং যাঁর সই করা পাস নিয়ে সংসদে ঢুকেছিল হামলাকারীরা, তাঁকেও বহিষ্কার করা হোক। এদিকে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে লোকসভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অধিবেশনে প্রশ্ন তোলার লক্ষ্যে পার্লামেন্টের পোর্টালের পাসওয়ার্ড অন্য একজনকে দেওয়ার অভিযোগে গত ৮ তারিখ সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, ওই পাসওয়ার্ড দেওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারত। তা হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে ‘গ্যাস-বোমা’ নিয়ে হানা দেওয়া দুই হামলাকারীকে যিনি ‘পাস’ দিয়ে গ্যালারিতে নিয়ে এসেছেন সেই বিজেপি সাংসদ, মহীশূরের প্রতাপ সিমহাকে অবিলম্বে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করতে হবে। সংসদে দু’জনের হানার পর দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার উল্লেখ করে বুধবার দিল্লি ও কলকাতায় দলের তরফে এমনই দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।