বুধবার শীতকালীন অধিবেশনের জিরো আওয়ার চলাকালীন হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নতুন সংসদ ভবন। গ্যালারি থেকে আচমকা লোকসভায় লাফ দিয়ে পড়েন দুই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ। তাঁদের হাতে ধরা টিনের কৌটা থেকে বের হয় হলুদ রঙের ধোঁয়া। সেই ধোঁয়ায় ভরে যায় লোকসভা। তাঁদের মুখে স্লোগান, ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ (স্বৈরতন্ত্র চলবে না)। স্বাভাবিকভাবেই হতবাক সবাই। সঙ্গে সঙ্গে মুলতবি করে দেওয়া হয় সভার কাজ। সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় এত বড় ত্রুটির পরে আততায়ীদের পাশাপাশি আঙুল উঠছে বিজেপি সাংসদের দিকেও। প্রতাপ সিমহার দেওয়া সুপারিশপত্র নিয়েই সংসদে ঢুকেছিল দুই আততায়ী। এবার এই হামলার চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল ৭ দিনের জন্য। জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন এবং সংসদের বাইরে গ্রেপ্তার হওয়া নীলম দেবী ও অমল শিণ্ডেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকালের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
ইতিমধ্যেই সংসদের এহেন ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। বুধবার টিভির পর্দায় দৃশ্যটি দেশে শিউরে ওঠে দেশবাসী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংসদরাও হতভম্ব হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে ঢুকেছিলেন মাইসুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সাগর শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাইসুরুরই আর এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সকলের বিরুদ্ধেই কড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার নতুন সংসদ ভবনে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লাফিয়ে পড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন সাগর ও মনোরঞ্জন। ২০০১ সালে সংসদে হামলার বর্ষপূর্তির দিনই এমন ঘটনায় রাতারাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও দ্রুতই অভিযুক্তদের আটক করেন মার্শালরা। এদিকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথে ওই ৮ জন দায়িত্বে ছিলেন।