শেষমেশ লাভ হল না কিছুই। কার্যত নিরর্থক হয়ে দাঁড়াল ২০ ঘণ্টার দীর্ঘ তল্লাশি। আসানসোলের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়ি থেকে শূন্য হাতেই বেরলেন আয়কর আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ শেষ হয় তল্লাশি। তবে এখনও ওই এলাকার ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ খান ও ইমতিয়াজের হিসাবরক্ষক পঙ্কজ আগরওয়াল, শিল্পপতি মহেন্দ্র শর্মার বাড়িতে চলছে আয়কর তল্লাশি। উল্লেখ্য, হীরাপুরের শেখ আলির ছেলে সোহরাব আলি। শেখ আলি পেশায় গাড়িচালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেই সূত্র ধরেই সোহরাব আলির লোহার কারবারে নামেন। ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন একাধিক বার।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী, আবার কখনও লালুপ্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। আবার পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারান। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরে আরএসপিতে যোগদান করেন। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন সোহরাব। তবে ২০১৬ সালে সোহরাব আলি রানিগঞ্জ থেকে তৃণমূলের টিকিট পাননি। পরিবর্তে সোহরাবের স্ত্রী নার্গিস বানোকে টিকিট দেওয়া হয়। তিনি ভোটে হেরে যান। পরে নার্গিস বানো আসানসোল পুরোনিগমের ভোটে লড়াই করেন। বর্তমানে ৮২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নার্গিস। সম্প্রতি সোহরাব নামেন প্রোমোটিং ব্যবসায়।