খাদ্যের দাম বৃদ্ধির জেরে তিন মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেল খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস’-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ। যা তিন মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। অগস্ট থেকে কমছিল মুদ্রাস্ফীতির হার। কিন্তু দুর্গাপুজোর মাস কাটতেই তা আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। অগস্টে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৮৩ শতাংশে ঠেকেছিল। সেখানে গত বছর নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ঠেকেছিল ৫.৮৮ শতাংশে। অর্থাৎ গতবারের নভেম্বরের তুলনায় এবার নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফ কিছুটা নীচের দিকেই থেকেছে।
আর এবার খুচরো মুদ্রাস্ফীতি যে বেড়েছে, সেটার জন্য দায়ি হল খাদ্যশস্য। ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস’-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। যা গত অক্টোবরে ৬.৬১ শতাংশ ছিল। আর ২০২২ সালের নভেম্বরে ছিল ৪.৬৭ শতাংশ।
এমনিতে গত চার দফায় রেপো রেট-সহ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার সাত শতাংশের আশপাশে থাকতে পারে। যা গত বছরের থেকে বেশি হবে (৬.৭ শতাংশ)।