বুধবার তোলপাড় হয়ে উঠল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। জিরো আওয়ার চলাকালীন হঠাৎই দর্শক গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে লোকসভায় পড়লেন দুই তরুণ। সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় এত বড় ত্রুটির পরে আততায়ীদের পাশাপাশি আঙুল উঠছে বিজেপি সাংসদের দিকেও। প্রতাপ সিমহার দেওয়া সুপারিশপত্র নিয়েই সংসদে ঢুকেছিল দুই আততায়ী। গোটা ঘটনার পর মুখ খুলেছেন মাইসুরুর সাংসদ। দলের মধ্যেই তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে বলেও জানিয়েছে সূত্র। দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাছে গ্যাস ছোড়ার সরঞ্জাম ছিল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। কীভাবে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাস হাতে পায় হামলাকারীরা? কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কীভাবে গ্যাস বম্ব নিয়ে ভেতরে পৌঁছয় অভিযুক্তরা? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বুধবার বিকেলে মাইসুরুর সাংসদ প্রতাপকে ডেকে পাঠান তিনি। কী করে সাগরের কাছে গেল সাংসদের অনুমতিপত্র, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন স্পিকার। সেই প্রশ্নের উত্তরেই প্রতাপ জানান, সাগরের বাবা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি সাংসদের দপ্তরে ঘোরাফেরা করতেন। কিন্তু সাগরকে চেনেন না বলেই দাবি করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর মতে, বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন সংসদ ভবনে ঢুকতে চেয়েছিল সাগর। সেই জন্যই প্রতাপের ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেন সাগরের বাবা। তাঁর অফিসেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সাগরকে সংসদে ঢোকার পাস দিয়ে দেন বিজেপি সাংসদ। তবে এই আচরণের জন্য দলের অন্দরেই জবাবদিহি করতে হবে প্রতাপকে, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।