বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল নতুন সংসদ ভবনে। দু’জনের আচমকা হানা দেওয়ার ঘটনা ঘিরে সূত্রপাত হল আতঙ্কের। আর এবার সেই ঘটনায় বিরোধীদের তুমুল নিন্দার মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার শাসকদল তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে কড়া সমালোচনা করা হয় গান্ধীনগরের সাংসদের। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করা হয় কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘নতুন ভারত। নতুন সংসদ। নতুন আইন। সেই পুরনো নিরাপত্তার গাফিলতি। পুরনো সংসদ ভবনে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার ২২তম বার্ষিকীতে আজ দু’জন ক্যান নিয়ে ঢুকে পড়ে যা থেকে হলুদ গ্যাসের নির্গত হচ্ছিল। দর্শক গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে তারা লোকসভার অধিবেশন কক্ষেও প্রবেশ করে।’’ এখানেই শেষ নয়। ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের নজরদারিতেই এমন ঘটনা ঘটে গেল। কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় নিরাপত্তার এমন গাফিলতির ঘটনা ঘটল? কাদের নামের পাস ওদের দেওয়া হয়েছিল?’’, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে আরও লেখা হয়েছে এমনটাই।
এদিন সমালোচনার ভঙ্গিতেই কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে আবার রাজ্যসভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জবাবে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘এখন এই বার্তা দেওয়া উচিত, দেশকে একত্রিত রাখতে আমরা সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। লোকসভায় যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সেই অধিবেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যসভা বরিষ্ঠদের স্থান, তাই এখান থেকে এই বার্তাই দেওয়া উচিত, এই ধরনের ঘটনার চেয়ে দেশ অনেক বড়। আর অধিবেশন চলতে দেওয়া উচিত।’’ খাড়গের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার উচিত সদনের কার্যক্রম চলতে দেওয়া।’’ সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও। ‘‘যে বিষয়টি চিন্তা করা দরকার তা হল আজ সকালে আমরা আমাদের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি যাঁরা ২০০১ সালে সংসদে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং আজ একই দিনে এমনকি নতুন সংসদও হামলাকারীদের হাত থেকে নিরাপদ নয়’’, বক্তব্য তাঁর।