বাংলার বকেয়া পাওনার দাবি নিয়ে এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকবেন তিনি। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে সাউথ ব্লকের সচিবালয়ে।
এরই মধ্যে তৃণমূলের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া না পেলে নয়াদিল্লিতে সত্যাগ্রহেও বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে সাময়িক সেই ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের থেকে অনুমতি চেয়ে রাখছে তৃণমূল। যন্তর মন্তরের সামনের রাস্তাটি হল বিক্ষোভ ও ধর্নার জন্য সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা। সংসদ ভবনের অদূরে এই ধর্নাস্খলে যে কেউ গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ সভা করতেই পারেন। তার জন্য বিশেষ অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু দিল্লি পুলিশকে জানিয়ে রাখলেই হয়।
এর আগে বাংলার বকেয়া পাওনার দাবি নিয়ে গত ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে দিল্লির রাজঘাটে গিয়ে সত্যাগ্রহে বসেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে সেই সত্যাগ্রহে সামিল হয়েছিল তৃণমূলের প্রায় সমস্ত সাংসদ ও রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সদস্যরা। সোমবারও বাংলার বকেয়া পাওনার দাবি নিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ির সভা থেকে তিনি জানিয়েছেন, শুধু একশ দিনের কাজেই ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা এখনও দিচ্ছে না কেন্দ্র।