একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয় পেলেও উপনির্বাচনে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি কেন্দ্রটি গেরুয়া শিবিরের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। সেই উপনির্বাচনের পরে এই প্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধন্যবাদ জানালেন ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের। এদিকে, উপনির্বাচনের ফল সামনে আসার পরই রাজ্য সরকার ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করেছে।
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধূপগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্মল চন্দ্র রায়কে জয়ী করার জন্য। আমরা কথা দিয়েছিলাম ধূপগুড়িকে মহকুমা করার। সেই কথা আমরা রেখেছি। আমাদের সরকার এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরেই। তবে এখানে একটা আদালতেরও ব্যাপার আছে। তাই আদালতে সেই স্বীকৃতি আটকে আছে। মুখ্যসচিবকে বলব দ্রুত আদালত থেকে যাতে সেই স্বীকৃতি পাওয়া যায় তা দেখতে। আপনাদের খুব অসুবিধা হতো দূরের মহকুমা যেতে। তাই আমরা দ্রুত ধূপগুড়িকে মহকুমা করে দিয়েছি।’
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন বানারহাটের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বানারহাট আগে ধূপগুড়ি ব্লকেরই অংশ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে দাবি ছিল বানারহাটকে পৃথক ব্লক হিসাবে গড়ে তোলার। সেই আর্জিও রেখেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। বানারহাট এখন পৃথক ব্লক। সেই বানারহাটের জন্যই এদিন মুখ্যমন্ত্রী একটি দমকল কেন্দ্র ও ৩০ শয্যার একটি হাসপাতাল গড়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে হাতিনালার ড্রেজিং করা হবে বলেও জানান তিনি।