কয়েকদিন বাদেই ফের রাজধানীতে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল উদ্দেশ্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়াই উদ্দেশ্য তাঁর। তবে পাশাপাশি রাজ্যের বকেয়া জট কাটানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন মমতার। এখনও বকেয়া রয়েছে বকেয়া নায্য পাওনা। সেই টাকার দাবিতে সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরাহা না হলে তিনি দিল্লিতেই সত্যাগ্রহে বসবেন। শনিবার আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় শিয়ালদহে এমনই জানালেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বলেন, “ইন্ডিয়া জোট সফল হবে। কিন্তু সাফল্য পেতে গেলে তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে এগোতে হবে।” তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর কলকাতার রক্তদান ও জনসভা হয় শিয়ালদহে। ছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসির ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, শক্তি মণ্ডল, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর কলকাতা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, অলোক দাস ছাড়াও বহু পুরপিতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের অপশাসনের অবসান ঘটাতে বিজেপিকে হারিয়ে বিকল্প সরকার চাই, যার নেতৃত্বে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” বাংলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, “একদিকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন। অন্যদিকে বাংলায় এমন উন্নয়ন করছেন যা নকল করতে হচ্ছে অন্য রাজ্যকে। ফলে দেশে এখন বাংলা মডেলই চাইছেন মানুষ।” শোভনদেব ও ঋতব্রত শ্রমিককল্যাণে আইএনটিটিইউসি-র ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। সুদীপ এবং কুণাল সবিস্তার জাতীয় ও রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। কুণাল বলেন, “যে বিজেপির সাংসদরা হাত তুলে ভোট দিয়ে গায়ের জোরে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করলেন, তাঁরা যাতে সংসদে আর না ফিরে আসতে পারেন, সেইভাবে জনমত গঠন করতে হবে। এবার রাজ্যে ৪২-এ ৪২ আসন টার্গেট করে লড়াই হবে।” সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভায় সিপিএম, কংগ্রেসকে যেমন শূন্য করা হয়েছে, তেমনই বাংলা থেকে লোকসভায় বিজেপিকে শূন্য করতে হবে।” এদিন স্বাস্থ্য শিবির, দুঃস্থদের কম্বলও বিতরণ করা হয়। স্বপন সমাদ্দার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সংগঠনের সদস্য বাপি ঘোষ। ৯৫৫ জন রক্তদান করেন।