খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি নেওয়া হল পদক্ষেপ। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি ভাঙা রাস্তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে দিল আলিপুরদুয়ার পুরসভা। এদিন রাতেই ওই রাস্তা মেরামতের কাজ আরম্ভ হয়েছে। শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার শহরে হেঁটে জনসংযোগ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে হাঁটতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পান, রাস্তাটির দশা বেহাল। ওই রাস্তায় হাঁটার সময় এদিন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী বাগচী বিশ্বাসকে দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রী। নিজেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলে পরিচয় দিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন “এই রাস্তা বেহাল কেন?” উত্তরে মৌসুমীদেবী বলেন , “এই রাস্তার কোনও অভিভাবক নেই। সেই কারণে এই রাস্তা বেহাল।” সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন বিষয়টি দেখে নিতে। কিন্তু জেলাশাসককে আর দেখতে হয়নি। রাতেই শুরু হয়ে যায় রাস্তা সারাইয়ের কাজে। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর বলেন, “এই রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্ত আমাদের আগে থেকেই ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলার ফলে আমরা রাত থেকেই এই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে এদিন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী বাগচী বিশ্বাস বলেন, “এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে আমাদের ওয়ার্ডে আসবেন তা আমার আগে থেকে জানা ছিল না। চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করায় আমি তড়িঘড়ি ছুটে যাই। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে রাস্তার কথা জিজ্ঞাসা করলে আমি জানাই ওই রাস্তাটির কোনও অভিভাবক নেই। আমার ওয়ার্ডের লোক ওই রাস্তা দিয়ে হাটলেও রাস্তাটি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের না ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই কারণে রাস্তাটি মেরামত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আমার সামনেই জেলাশাসককে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।” শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমি যে রাস্তাটি দেখলাম সেটা ডিএমকে বলেছি বিষয়টি দেখে নিতে । কারণ এখানে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করেন। অনেক মানুষ আসেন। কতগুলো রাস্তা পড়ে থাকে সেগুলো না দেখলে হয় না। আমি নিজে দেখে সেগুলোতে ব্যবস্থা নেই। “ আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ ফুটে এই বেহাল রাস্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরেই তৎপর হয় আলিপুরদুয়ার পুরসভা। রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়ে যায় শনিবার রাতেই।