সংসদে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই ফের একজোট ‘ইন্ডিয়া’। শুক্রবার দুপুর ১২টায় লোকসভায় পেশ হয় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। সংসদে এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরই হই-হট্টগোলের কারণে অধিবেশন ২ ঘণ্টার জন্য মুলতুবি হয়ে যায়। দুপুর ২টো থেকে অধিবেশন ফের শুরু হয়।
এদিন তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, দেশের ন্যায়ালয়গুলিতেও মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের বলতে সুযোগ দেওয়া হয়। আমি অনুরোধ করব মহুয়া মৈত্রকেও বলার সুযোগ দেওয়া হোক। নতুন সংসদ ভবনকে কলঙ্কিত হতে দেবেন না। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, ৩১ বছর হয়ে গিয়েছে আইনজীবী হিসাবে। অনেক সময়ই তাড়াহুড়ো করতে হয়। কিন্তু এই প্রথম হয়তো বিনা রিপোর্ট না দেখেই আলোচনায় অংশ নিচ্ছি। ১২টায় রিপোর্ট পেশ করে ২টো সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। অধীরজির কথার সূত্র ধরেই বলছি, একটু সময় দিলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ত না। একটি পার্টি কী সুপারিশ করতে পারে কার সাংসদ পদ থাকবে? অভিযুক্তকে তাঁর বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে? মনীশের দাবি, তিনদিন সময় দেওয়া হোক এথিক্স কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করার জন্য।
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট সঠিক নয়। আগেই রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক। তৃণমূলের বক্তা হিসাবে তাঁকে এই সুযোগ দেওয়া হোক।’ আরেক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পক্ষপাতমুক্ত বিচার হয়নি। আমরা যখন কোনও ব্যক্তির ভবিতব্য় বিচার করি, তখন আমরা বিচারকের ভূমিকায় থাকি। আমরা আইনানুযায়ী দাবি জানাচ্ছি মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক।’ কল্যাণের দাবি, ‘দর্শন হিরানন্দানি অভিযোগ এনেছেন মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ সামনে এনেছেন জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সঙ্গে টেনে এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে। কিন্তু দর্শন হিরানন্দানিকে প্রশ্ন করার জন্য ডাকাই হয়নি। যিনি অভিযোগ এনেছেন, তাঁর বয়ানই গ্রহণ করা হল না। এটা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাতেও এর উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধান ভাঙা হচ্ছে।’