এবার ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি প্রদান করল ইউনেস্কো। বিশ্ব জুড়ে মুসলিমরা রমজান মাসে সারাদিন উপবাস বা রোজা পালনের পর যে পংক্তি ভোজনে অংশ নেন, তাকেই ইফতার বলে। ইউনেস্কো বলেছে, ইফতার সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সম্পৃক্ত করে। এর মাধ্যমে একত্রে বসবাস, ওপরের প্রতি দায়বদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া দৃঢ হয়। ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে ইউনেস্কোর কাছে আর্জি জানিয়েছিল ইসলামিক দুনিয়ার চার দেশ – ইরান, আজারভাইজান, উজবেকিস্তান ও তুরস্ক।
প্রসঙ্গত, রমজান মাসে মুসলিমরা ভোরের অর্থাৎ মাগরিবের আজান শেষে সপরিবারে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর সারাদিন নির্জলা উপবাস। সূর্যাস্তের পর পংক্তি ভোজন অর্থাৎ পরিবার, বন্ধু স্বজনদের সঙ্গে একত্রে খাওয়া দাওয়া সারেন। তারে সব ধর্মের মানুষের যোগদানের সুযোগ রয়েছে। গত বুধবার থেকে বসনিয়ায় শুরু হয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক। সেই। বৈঠকেই ভারতের গরবা নাচ এবং বাংলাদেশের ঢাকার রিকশ ও রিকশ চিত্র বিশ্ব হেরিটেজের স্বীকৃতি পায়। ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে ইউনেস্কো বলেছে, এই ধর্মীয় পরবে তরুণ সমাজ বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তারা ইফতারের আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা দায়িত্ব পালন করে থাকে। যা ক্রমশ দায়িত্ববান করে তোলে তাদের।