বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলি। এদের মধ্যে অন্যতম হল ‘দুয়ারে সরকার’। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে, সহজলভ্য করতেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা। মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের অনুসরণ করেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার দেশের আরও একটি রাজ্য পাঞ্জাবেও প্রকল্প শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’-এর আদলে। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ঘোষণা করেছেন, ‘ভগবন্ত মান সরকার আপকে দ্বার’ প্রকল্প। যেখানে ৪২টি সরকারি পরিষেবা মিলবে। নির্ধারিত নম্বর ১০৭৬ ডায়াল করে নাগরিকরা তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি সুবিধামতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং শংসাপত্রগুলি পেতে পারেন। পাঞ্জাব সরকার গভর্নমেন্ট-টু-সিটিজেন পরিষেবাগুলি আরও দ্রুততর করতে ৭ই ডিসেম্বর ডোর-স্টেপ ডেলিভারি (ডিএসডি) উদ্যোগ চালু করেছে। এই পরিষেবাটি ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করবে। যার মধ্যে থাকছে জন্ম, মৃত্যু, আয়, বাসস্থান, জাতিগত সার্টিফিকেট দেওয়া, পেনশন এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুবন্দোবস্ত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ভগবন্ত মান ‘সরকার তোয়ারে দ্বার’ পরিষেবা চালু করেছিলেন। নয়া প্রকল্প আগেরটির সঙ্গেই চলবে। ১০৭৬ নম্বরে ফোন করে নাগরিকরা নিজেদের সুবিধামতো সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে পারবেন। একটি কল সেন্টারের মাধ্যমে বিষয়টি পরিচালনা করা হবে। যেভাবে দিল্লীর ডোর-স্টেপ ডেলিভারি ব্যবস্থা চলছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট চূড়ান্ত হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জরুরি নথি ও দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। এর জন্য খরচ লাগবে ১২০ টাকা। নাগরিকের বাড়ি যাওয়া ও পরিষেবা দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি ফি এবং চার্জ সংগ্রহ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে ট্যাবলেট নিয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীরা নথিপূরণ, ফি সংগ্রহ এবং আবেদন ট্র্যাকিংয়ের জন্য রসিদ দিতে বাড়ি বা অফিসে যাবেন। যদিও বাংলায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বিশেষ শিবির করে। আবেদন মঞ্জুর হলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাঞ্জাবে নাগরিকদের মোবাইলে ডিজিটালি সই করা কিউআর কোড সম্বলিত সার্টিফিকেট মিলবে। পরে ই-মেল করে পাঠানো হবে হার্ড কপি। প্রয়োজনে সেবাকেন্দ্রে গিয়েও পরিষেবা নিতে পারবেন নাগরিকরা।