বৃহস্পতিবার ছিল তেলেঙ্গানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আর তাতে তৃণমূলের তরফে যোগ দেওয়ার জন্য সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশদের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একই চার্টার্ড ফ্লাইটে চেপে তেলেঙ্গানা রওনা দেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতাকে একই ফ্লাইটে তেলেঙ্গানা যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বই। শেষমেশ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে একই উড়ানে সওয়ার হন তিনি।
সূত্রের খবর, চাটার্ড ফ্লাইটে বসেই ডেরেকের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ মিটিংয়ের পরবর্তী দিন নিয়ে একপ্রস্থ কথা হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের৷ সেখানেই স্থির হয় ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মিটিংয়ে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন শরিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এর পরে জানুয়ারিতে হবে পরের বৈঠক৷ দিল্লির বৈঠকে যাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য ডেরেককে অনুরোধ জানান কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে নিজেই৷
যাবতীয় ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের অভিমত, চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফলের পরে তৃণমূলকে আরও কাছে পেতে চাইছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড৷ বুধবারের মিটিংয়ের জন্য রাহুল গান্ধী নিজেই তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা। যদিও ততক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের শিডিউল চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। এবারও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে আলাদাভাবে মমতাকে ফোন করে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তৃণমূলকে যে সোনিয়া-খাড়গেরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা পরিষ্কার হয় রেবন্তের শপথ অনুষ্ঠানেও। চার্টার্ড ফ্লাইট তেলঙ্গানায় পৌঁছনোর পরে রেবন্ত রেড্ডি নিজে বিমানবন্দরে এসে সবাইকে অভ্যর্থনা জানান৷ বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত রাস্তায় ডেরেক ও খাড়গের সঙ্গে একই গাড়িতে সফর করেন রেবন্ত৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রথম সারিতেই খাড়গে, সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বসার ব্যবস্থা করা হয় ডেরেকের৷ অনুষ্ঠানের প্রত্যেক বক্তা ডেরেকের উপস্থিতির জন্য তাঁকে ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান৷