ভোট প্রচারে বেরিয়ে গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি যদি মধ্যপ্রদেশে ৫০ আসনের বেশি জিততে পারে তাহলে তিনি মুখে কালি মাখবেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এবার সেই মতো নিজের মুখে কালি মাখলেন কংগ্রেস বিধায়ক ফুল সিং বরৈয়া। নিজের কেন্দ্র ভান্ডার থেকে ফুল সিং জিতেছেন বটে তবে মধ্যপ্রদেশে তাঁর দল জেতেনি। ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ফিরেছে গেরুয়া শিবির। তবে ফল প্রকাশের পর ফুল সিং নিজের দেওয়া কথা ভুলে যাননি। নিজের দেওয়া কথা মতোই মুখে কালির টিকা পরেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রচারের সময় ফুল সিং বলেছিলেন, ‘যদি ৫০টি আসন জিততে পারে কথা দিচ্ছি রাজভবনের সামনে নিজের মুখে হাতে করে কালি লেপটে দেব। এটা আমার প্রতিজ্ঞা।’ ভোটের ফলপ্রকাশের পরে কিছুটা হলেও বিব্রত কংগ্রেস নেতা। তবে জনসমক্ষে কথা যখন দিয়েছেন তখন তা তো রাখতেই হবে! বৃহস্পতিবার যখন ফুল সিং কালি মেখে ভোপালের রাস্তায় ঘুরছিলেন, তাঁর সঙ্গে দিগ্বিজয়ও ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোপালের রাস্তায় তাঁকে মুখে কালির আঁচর কেটে ঘুরতে দেখা যায়।
সংবাদ মাধ্যমে ফুল সিং বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ৫০টির বেশি আসন জিতলে আমি মুখে কালি মাখব বলে শপথ করেছিলাম। আমি কথা রেখেছি। আমার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং মুখে কালি না মাখতে অনুরোধ করেছিলেন, তবে আমায় কথা রাখতেই হত।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে সামগ্রিক ভাবে কংগ্রেস হারলও ভান্ডার কেন্দ্র থেকে অবশ্য বিপুল ভোটে কংগ্রেসকে জয় এনে দিয়েছেন ফুল সিং। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮২০৪৩। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন ঘনশ্যাম পিরোনিয়া। ঘনশ্যামের প্রাপ্ত ভোট ৫২৬০৫।
এদিকে, এ নিয়ে দিগ্বিজয় সিং বলেন, ‘ওঁর মুখ কালো হয়নি। বরং ওঁর মুখে এই কালো দাগের আঁচড় ওঁকে শত্রুর নজর থেকে রক্ষা করবে। বরৈয়া যা প্রতিশ্রুতি দেন সবসময় তা রক্ষা করেন। আমি ওঁকে মুখে কালি মাখতে বারণ করি। কারণ ওঁর ভবিষ্যৎবাণী একাংশে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ব্যালট পেপারে ভোট হলে কংগ্রেসই জিতত। তাই ওঁর মুখে কালি মাখার প্রয়োজন ছিল না। বরং বিজেপি যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তার জন্য ওদের দলের নেতা-নেত্রীদের মুখ কালো করা উচিত।’