বাংলায় একশো দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে দিল্লিতে দরবার শুরু করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ কিন্তু এবার খোদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি সংসদে জানিয়েছেন, সবথেকে বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই৷ শুধু যোগী রাজ্যই নয়, এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য৷ সেই তুলনায় ভুয়ো জব কার্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলা৷ এই তথ্য সামনে আসার পরেই এবার মোদী সরকারকে এক হাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার প্রাপ্য আটকে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতর। কিন্তু ভুয়ো জবকার্ডের নিরিখে শীর্ষে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রক? বুধবার, দুপুরে কার্শিয়াং রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রশ্ন তুললেন তিনি।
জব কার্ড ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে, ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। অথচ ওদের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়নি। বেছে বেছে শুধু বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে।’ একই সঙ্গে নাম না করে বিজেপিকে সবচেয়ে বড় পকেটমার বলে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, বাংলার একের পর এক প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেও তাদের নিরিখে বিভিন্ন প্রকল্পে দেশের মধ্যে একনম্বর বাংলাই। এর মধ্যেই ফের ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার তদন্তে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওঁরা পকেটমার। মানুষের পকেট কাটে। এর আগে ১০৭টি দল এসেছে। আরও দল আসুক। এরা বিজেপিকে রাজনৈতিক অক্সিজেন জোগাতে আসে। ও করেগা, হাম লড়েগা।’ তাঁর প্রশ্ন, বাংলার ১০০ দিনের টাকা, গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা আটকে রেখেছে! তাহলে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয় কেন?