আবার খেলা হবে।’ চব্বিশের লোকসভার আগে তৃণমূলের সম্প্রীতি মঞ্চ থেকে ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। সেই দিনটিকে মনে রেখেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল মেয়ো রোডে সংহতি সমাবেশ করেছে বুধবার। কিন্তু উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য এদিন শহিদ মিনারে তৃণমূলের সম্প্রীতি মঞ্চে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এক মন্ত্রী তাঁকে ফোন করে ভারচুয়ালি মঞ্চে হাজির করেন। মাউথ স্পিকারের সামনে ফোনটি তুলে ধরার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী।
সম্মেলনে উপস্থিত সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে তারা। তাদের এই মানসিকতাকে জিততে দিলে চলবে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে। ওরা নানা ভাবে এই একতা ভাঙার চেষ্টা করবে। কুৎসা ছড়াবে। মিথ্যে অভিযোগ তুলে নানারকম আক্রমণ করবে। কিন্তু সেসবে কান দিলে চলবে না। বিজেপিকে রুখে দিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।
মমতার কথায়, ‘অনেক কুৎসা হচ্ছে। তাতে কান দেবেন না। আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ। আজকে শপথ নেওয়ার দিন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।’ এর পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘ধর্মস্থানকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু কেউ কেউ ধর্মস্থানের নাম করে ভুল বোঝাচ্ছে।’ রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, নাম না করলেও মমতা আসলে নিশানা করতে চেয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে।
এরপরেই তিন রাজ্যের ভোটের ফল নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ভোট ভাগাভাগির কারণে ওখানে বিজেপি জিতে গিয়েছে। ওটা বিজেপির জয় নয়। একত্রিত থাকলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। বাংলা চায় বিজেপির পরাজয়। বাংলা চেয়ারের জন্য নয়, মানুষকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে। আবার খেলা হবে। বিজেপিকে হটাও, বিভেদ দূর করো।’