রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে বিরোধীদের হতাশাজনক ফলাফল৷ তার উপরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসন্তোষ৷ এমন নানা ঘটনা ও বিতর্কের মাঝেই বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে৷ আগামিকাল অর্থাৎ, বুধবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে ইন্ডিয়ার জোটের পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ‘সুবিধা মতো’ ওই দিনে বৈঠক করতে নারাজ জোটের একাধিক শরিক দল৷ সেই কারণেই, আপাতত বৈঠক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে যোগ দিতে পারার কথা গত সোমবার স্পষ্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, ‘আগামী ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর আমি নর্থ বেঙ্গল যাচ্ছি৷ ৬ তারিখের বৈঠকের কথা আমি জানতাম না৷ যদি জানতাম ওই দিন বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাহলে হয়ত আমি আমার সফরের তারিখ বদল করতাম৷’
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, শোনা গিয়েছে, এই বৈঠকে যোগ দিতে তেমন উৎসাহী ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও৷ ক’দিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইন্ডিয়া জোটকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস৷ বরং ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই বেশি ব্যস্ততা দেখাচ্ছে৷ অন্যদিকে, অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল৷ যদিও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে তামিলনাড়ুর যা অবস্থা, তার উপরে নজরদারি চালানোর জন্যই স্ট্যালিন যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন৷
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান— এই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছে কংগ্রেস৷ এর মধ্যে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে৷ ঠিকমতো আসন সমঝোতা না হওয়া, আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই এই ‘হাল’ হয়েছে বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই৷ এবার সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা অবশ্য বলবে সময়৷