ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। বারবার উঠেছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযো। পরিকল্পনা মতোই তৃণমূলের উপর বারবার নেমে আসছে আঘাত। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তৃণমূলকে। বাংলায় বকেয়ার পাহাড় জমেছে। কিন্তু প্রাপ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার। তাই এবার সারা বাংলা মুখর হয়ে উঠল প্রতিবাদে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রবিবারও ফের গর্জে উঠল রাজ্যবাসী। শনি ও রবিবার, দু’দিন প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। প্রতিবাদের দ্বিতীয় দিনেও বাংলার প্রতি ব্লকে ব্লকে মিছিল হল, বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন, সংবিধান বিপন্ন। রাজ্যে বিজেপির বিধায়করা জাতীয় সংগীতের অবমাননা করছেন, আদিবাসীদের অপমান করছেন। একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক যোজনা টাকা, নিজ গৃহ নিজ ভূমির টাকা দেওয়াও বন্ধ। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-ইডি দিয়ে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তারই প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে তৃণমূল আওয়াজ তুলল, দাবি না মেটা পর্যন্ত প্রতিরোধ-আন্দোলন চলবে। এদিন বকেয়া-বঞ্চনা-সহ অপমান-অবমাননার প্রতিবাদে নববারাকপুরে মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন নববারাকপুর পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস প্রমুখ। বিধাননগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হল। যাদবপুরে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল হল উত্তর ২৪ পরগনার হেমতাবাদের মহিপুরেও। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেমতাবাদ অঞ্চল সভাপতি সজিরুদ্দিন আহমেদ, ব্লক যুব সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কুলপির কামারচকে প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন হালদার ও প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা। হুগলির শ্রীরামপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সন্তোষকুমার সিং, প্রাক্তন পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় ও অন্যরা। শ্রীরামপুরে অন্য এক প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন, যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। ব্যান্ডেলে মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। এছাড়া বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ এদিনও সরব হয় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ মিছিল আয়োজিত হয় বিভিন্ন ব্লকগুলিতে।