দেশের ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। রাজস্থানে ভূপাতিত হাত শিবির। মধ্যপ্রদেশে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। অন্যদিকে, ছত্তীসগঢ়েও ক্ষমতা থেকে সরতে চলেছে কংগ্রেস। বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোটের তোড়জোড় করছে বহুদিন ধরেই। তার কোনও প্রভাব এই ফলাফলে নেই। এরকম এক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই একমাত্র ভরসা। সেই মমতা মডেলে ভরসা করে লোকসভার জন্য বিপুল উত্সাহে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তর কলকাতার একটি দেওয়াল লিখনে বার্তা দেওয়া হয়েছে, মমতার হাত শক্ত করুন। তৃণমূল প্রার্থীদের জেতান। বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগে কংগ্রেসের উপরে চাপ বাড়াতেই কি এমন কৌশল? এমনটাই জল্পনা তৈরি হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট তৈরিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সেই জোটের ভবিষ্যত কী তা ভবিষ্যতই বলবে। কিন্তু তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস বলতে শুরু করে দিল মমতা মডেলই একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি কোথাও না কোথাও কংগ্রেসের ব্যর্থতাকে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে জোট বৈঠকে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে পারে অন্য়ান্য দলগুলো। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ওই দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে উন্নয়ণ দিয়ে মানুষের মন জয় করছেন এবং দ্বিতীয়ত রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে হারানো যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের হাতে এখনও সময় রয়েছে এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্ষত মেরামত করার। বেঙ্গল মডেলকে সামনে রাখুন। ধর্ম নিরপেক্ষ, প্রগতিশীল নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিন। কিন্তু কংগ্রেস তার রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়ে সমানে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করে চলেছেন। তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেখানে কংগ্রেসের প্রাথমিক দায়িত্ব বিজেপিকে দুর্বল করার সেখানে ফেল করব আর অন্যের জায়গায় কাঠিবাজি করব এই দুটো জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না।