আভ্যন্তরীণ কোন্দল পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। গেরুয়াশিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও এই সমস্যা মেটাতে পারেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষরা। পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই বঙ্গ সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্প্রতি শাখা সংগঠনের সভাপতি ও পরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি অমিত শাহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। পাশাপাশি ‘সিটিং’ এমপিদের লোকসভা নির্বাচনের ফল যদি সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তার দায় অনেকাংশেই নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের। রাজ্য বিজেপিকে এহেন বার্তা দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে উপরমহল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলা বিজেপির শাখা সংগঠনের সভাপতিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান শাখা সংগনের এক রাজ্য সভাপতি। তিনিই জানান, বাংলা থেকে এবার গতবারের থেকেও বেশি আসনের প্রত্যাশা রয়েছে অমিত শাহদের। কিন্তু যেভাবে দলের কোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে তাতে অসন্তুষ্ট সংঘের কর্তা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্য নেতাদের আচরণই বাধ্য করেছে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নভেম্বর থেকে সংগঠনের সমস্থ রিপোর্ট সরাসরি অমিত শাহকে পাঠাতে হবে। তিনিই সব কিছু দেখভাল করবেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। ৪২টি লোকসভা ধরে ধরে তিনি আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। ফলে রাজ্য থেকে কোনও নাম পাঠানোর প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে বর্তমান সাংসদদের অনেকেরই ভাগ্যে শিকে না ছিঁড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।