পাঁচ রাজ্যের ভোটপর্ব চলাকালীন ইন্ডিয়া জোটের কাজ একটুও এগোয়নি। কংগ্রেসের জন্যই এগোয়নি। নেতারা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত, এই অজুহাত দেখিয়ে আসন সমঝোতা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেনি হাত শিবির। যাতে ক্ষোভ জমছিল ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকদের মধ্যে। ভোট পর্ব পুরোপুরি মেটার আগেই সেই ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া শুরু করল কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে লেখা বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল জোট শরিকদের। তাতে হাজিরও থাকলেন অনেকে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর নিয়ে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএম, ডিমকে, আরজেডির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের সংসদীয় রাজনীতির ওপর বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান কার্যত হয়ে উঠল ইন্ডিয়া জোটের কয়েক শরিকের চিন্তাভাবনার মঞ্চ। প্রথমেই ডিএমকের টিআর বালু জানান, কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তনে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আছেন। এবং জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেসকে মেনে নিতে ডিএমকে সুপ্রিমোর কোনও আপত্তি নেই। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে থাকার বার্তা দেন তিনি।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও ঘুরিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে স্বীকার করেন। তেলেঙ্গানা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, ‘যখন ইন্ডিয়া জোট হয়ে গিয়েছে তখন তেলেঙ্গানাতে আসন সমঝোতা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত যে সমঝোতা হয়েছে তা খাড়গের দায়িত্ববোধের জন্যই সম্ভব হয়েছে’। তাঁর অভিযোগ, ‘দেশজুড়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল। মানুষ মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। মানুষ যাতে বিভেদ ভুলে সম্প্রীতি বজায় রাখে সেই দায়িত্বও খাড়গেকে নিতে হবে’। আরজেডির মনোজ ঝাঁ-ও জানান, তিনি এবং লালুপ্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদব ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই আছেন।