নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালের কাজে কোনও বিল পাঠানো হলে তিনি সেটায় সই করে সম্মতি দিতে পারেন। অসম্মত হলে বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। আবার রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল এগুলির কোনওটাই করছেন না। বিলগুলি রাজভবনে আটকে থাকছে। পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর পর এবার যেমন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে কেরালার রাজ্যপাল। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া সাতটি বিল আটকে রেখেছেন কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। অথচ কেন বিলগুলি নিয়ে কোনওরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে নীরব রাজভবন। সেকারণেই সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়লেন আরিফ খান। এই নিয়ে এক সপ্তাহে তিন রাজ্যপালকে তোপ দাগল শীর্ষ আদালত।
বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কেরালার রাজ্যপালকে বলেছে, বিল আটকে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। সম্মতি দেবেন কী দেবেন না, না দিলে কেন দেওয়া হচ্ছে না সেটা জানাতে হবে। দরকার পড়লে সুপ্রিম কোর্ট বিল নিয়ে পদক্ষেপ করার সময়সীমা বেঁধে দেবে। শীর্ষ আদালত কেরলের রাজ্যপালকে সাফ বলে দিচ্ছে, কোনও বিল নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে দরকারে মুখ্যমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু ফেলে রাখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের মামলা বিরক্তিকর। আলোচনা করে সমস্যা মেটান। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, দু বছর ধরে রাজ্যপাল করছেনটা কী? এবার আমাদের ভাবতে হবে, কতদিনের মধ্যে রাজ্যপালরা বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকবেন তেমন নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া যায় কিনা। এ রাজ্যেও বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া বহু বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার বাংলায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কমবে?