অভিনব পদক্ষেপ নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার ‘সত্যজিৎ রায়’ পার্ক পাবেন সৈকতশহরের বাসিন্দারা। সম্প্রতি এমনটাই পরিকল্পনা করেছে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এর আগে একটি প্রমোদতরী পেয়েছে এই শহর। এর পর দীঘার পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ‘সত্যজিৎ রায় পার্ক’। ওল্ড দীঘার বিশ্ববাংলা-২ পার্কের কাছে সেজে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক। এই ধরনের পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে দীঘায় আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য। সৈকতের পাশে ওল্ড দীঘার বিশ্ববাংলা-২ পার্কের কাছে গড়ে তোলা হবে এই পার্কটি । একদিকে থাকছে সমুদ্রের ঢেউয়ের মজা। অপর দিকে গুপী-বাঘার সঙ্গে হীরক রাজার দেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ। গোটাটারই ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, পর্যটকদের কথা ভেবে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় উন্নয়ন পরিষেবা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। সত্যজিৎ রায়ের তৈরি বিভিন্ন সিনেমার চিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে আগামী বছরে।
উল্লেখ্য, বাংলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র দীঘাকে আরও পর্যটক উপযোগী করে তুলতে চাইছে রাজ্য। ইতিমধ্যে দীঘায় ঝাঁ চকচকে রাস্তা, সাউন্ড সিসটেম, ডিজিটাল পরিষেবার পাশাপাশি পুরির আদলে জগন্নাথধাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে পর্যটকদের সামনে এক গুচ্ছ উন্নয়নমূলক পরিষেবা তুলে ধরা হচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই আরও একটি উপহার পেতে চলেছেন দীঘায় আসা পর্যটকরা। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে সমুদ্রে প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে এই প্রমোদতরী পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জলপথে কোন রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, কেমন স্পিড রাখা যেতে পারে এই সমস্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই এই পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী রাজ্য সরকার।