মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের কাছে ‘খলনায়ক’ হিসাবেই কুখ্যাত তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাঁর ভূমিকা সমালোচনার মুখে পড়েছিল। প্রয়াত সেই প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব হেনরি কিসিঞ্জার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জমানায় মার্কিন বিদেশনীতির ‘ভারত বিরোধী’ অভিমুখের মূলে তিনিই ছিলেন। বিতর্কে মোড়া কার্যকালে মুক্তিযুদ্ধে খলনায়ক হিসাবেই কুখ্যাত ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জার্মান বংশোদ্ভূত কূটনীতিক কিসিঞ্জার কানেক্টিকাটে তাঁর বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিবের বলে খবর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের আবহে মার্কিন কূটনীতির ‘বাস্তবমূখী’ (নিন্দুকেরা বলেন সুযোগসন্ধানী) গতিপথের নেপথ্যে মূলত কিসিঞ্জারেরই হাত ছিল বলে মনে করা হয়।