বুধবার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করতে চলেছে বিজেপি। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে এবার বিস্ফোরক বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। নিজেদের বাড়িতেই বিয়ে। অথচ বড়কর্তা নিমন্ত্রণ করেননি। তাহলে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত? ঠিক এই ভাষাতেই কলকাতায় ‘শাহি’ সভাকে বিয়ে বাড়ি বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
অনুপম বলেন, ‘২০২০ সালে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে আমি হয় ডাক পাই না, নয় পেলেও একেবারে শেষের সময় পাই যখন পৌঁছনো সম্ভব নয়। রাজ্য বিজেপিতে যে অযোগ্য জেলা সভাপতিদের বসিয়ে রাখা হয়েছে, যারা সংগঠনটিকে ধ্বংস করে ফেলছেন তাঁদের কথা আমি যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরি সেটাই এদের ভয়। তাই রাজ্যে কোনও উচ্চ নেতৃত্ব এলে আমাকে সেই অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না।’
তাঁর মতে, যেসব পুরনো কর্মী-সমর্থক যাদের দল ব্রাত্য করেছে, কোণঠাসা করেছে এবং যাঁরা অবহেলিত তাঁদের আবার একত্রিত করার চেষ্টা চলছে। রাজ্যে যে দু’তিন জন সংগঠনটিকে চালায় তাঁদের এটা খুব সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন বিভিন্ন জেলায় পুরনো এবং নতুন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিভেদ প্রকাশ্যে এসে পড়ছে।
অনুপমের দাবি, ‘এখনও পর্যন্ত ১৮ থেকে ১৯টি জেলায় প্রকাশ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। একটা দুটো জেলা হলে মানা যায়। যখন মানুষ দীর্ঘদিন বঞ্চিত হতে হতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তখন তাঁরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ করে। দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে যেখানে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে সেখানে সংগঠনের মাথায় যারা বসে আছেন তেমন দু’তিন জনের ছবি নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এটা জলের মত পরিষ্কার যে কারা সংগঠনটিকে ধ্বংস করছে। কারা এই বিজেপি কার্যকর্তাদের বসিয়ে রেখেছে।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ৩৫টি আসন দিন। মমতার সরকার ফেলে দেব। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব যেভাবে চলছে, তাতে আসন্ন লোকসভায় অমিত শাহর ৩৫টি আসন পাওয়া মানে স্বপ্নের। কারণ, রাজ্য বিজেপির যাঁরা পদে বসে আছেন, তাঁরা তোলাবাজি করতে ব্যস্ত। প্রকৃত পুরনো বিজেপি কর্মীদের বসিয়ে রেখেছে।’