‘কে কোথায় টাকা রাখছে, খোঁজ রাখছি। দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে। তাই, ইডি-সিবিআইয়ের ব্যবহার হবে। তোমরা যখন ক্ষমতায় থাকবে না, তখন মানুষের উপর অত্যাচারের কড়ায়-গন্ডায় হিসেব হবে।’ আজ, ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি’ সমাবেশের দিন গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়ার দাবিও জানান তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
বুধবার বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিনের পর দিন বিধায়কদের তহবিলে টাকা বাড়ানো হয়। তখন তো বলেন না? রাজ্যের ২১ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়। অনেকের কোটি কোটি টাকা আছে, যাঁদের দরকার নেই। ২১ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়, তখন আপনাদের মন কাঁদে না। আর একটার বদলে দুটি বিড়ি খেলে চোর বলে!’ বস্তুত, বুধবার দুপুরে যখন বিধানসভায় মমতা বলছেন, তখন ধর্মতলার সভায় বক্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুরা যখন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে আক্রমণ শানান, তখন বিধানসভায় মমতার বক্তব্যে উঠে এসেছে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’ এবং ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির’ অভিযোগ।
এদিন মমতা বলেন, ‘বিজেপি সব কিনে নিয়েছে! ১০০ দিনের কাজ। আবাস যোজনা, রাস্তার কাজের টাকা দেয়নি। জিএসটির নামে কর তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাছের তেলে মাছ ভাজা হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ভোটের সময় এবং ভোটের আগে-পরে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে দল পাঠায় বিজেপি। অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়কদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই পাঠানো হচ্ছে।’ মমতার দাবি, ‘আমি জীবন্ত মা দুর্গা সাজলে কেউ গ্রহণ করবে না। সব দলেই ভাল এবং খারাপ আছে। সিপিএম বা ও দিক (বিজেপি) থেকে আসা লোক অন্যায় করতে পারে। ব্যবস্থা নিয়েছি। আর কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষকে হুমকি দিয়ে বলেছে তোমার বাড়িতে ইডি যাবে। চলে গেল!’